ক্ষুধা কি
ক্ষুধা কি সার্বজনীন! হয়তো অতন্দ্র কোন পাখি
গুম হয়ে যাবে রূপালী পর্দায়-
দীর্ঘ লাইন ধরে
কালোবাজারিরা টিকিট কেটে সিনেমা দেখবে
নাছরীন
সবাই পারে না। তুমি পেরেছ নাছরীন;
অবৈধ বিশ্বাসে আস্থা রেখেছ রাতদিন।
মাধবী
বয়স আমাদের বিচ্ছিন্ন করে দ্যায়?
নাকি অন্তর্নিহিত আত্মমুখীতা
প্রয়োজন বুঝে নেয়
বুঝতে পারি না।
কোলাহল থেকে দূরে চলে গেলে
নদীও নিঃশব্দ হয়-
তুমি আমি অন্তর্লীন এক দুর্বোধ্য জগতে
হরিণ শিকার থেকে ফিরে
হরিণ শিকার থেকে ফিরে এসো চৌরাস্তার ভীড়ে
এখানে একাত্ম হয়েছে চার ভিন্নমতবাদী-
স্ব স্ব দিকে চলে যাওয়ার আগে তাদের শরণ নাও
আমি যে ঘরে থাকি
আমি যে ঘরে থাকি সে ঘরে সর্বদাই শীতঋতু;
হিমেল হাওয়ায় ঠোঁট ফেটে চৌচির-
তীব্রতার ভেতরে কচুপাতা মুড়ে শুয়ে থাকি
তবু শজারু এসে উদ্ধার করে না।
আলো ও ছায়ার দূরত্বে হিমচুম্বন
ম্লান হয়ে যায়।
আমাদের পৃথিবীর মতো
আমাদের পৃথিবীর মতো অদ্ভুত গোলক আর নাই
কার্যত আমরা ঘুড়ে বেড়াচ্ছি নৈর্বেক্তিক
আমাদের জ্ঞাতসারে ধোঁয়ার কুন্ডলী,
ব্রুণোর চিতার ছাই ওড়ে গীর্যার পাশে।
চারিদিকে ব্যগ্র অন্ধকার
চারিদিকে ব্যগ্র অন্ধকার। কোথায় তুমি তীব্রতা?
আমি হাড়ের ভেতরে; বেদনায় বন্ধ চোখ।
শরীরইতো বড় নিয়ামক। চোখের কাছে
হার মেনেছে চিতার চিৎকার-
তুমি দেখেছ
তুমি দেখেছ অনিঃশেষ ফুটপাথ
প্রসন্ন বিস্ময়ে মিশে গ্যাছো হঠাৎ
তুমি দেখেছ বৃষ্টি ফোঁটার পতন
তুমি দেখেছ সারি সারি বেলুন
উড়ে গ্যাছে হায় গল্পের মতোন।