বহুদিন পরে -
আজ প্রেমিকাকে দেখেছি ... ভাঙনের রাতে
রুগ্ন, নগ্ন কালো হাত ... রাত্রির মতো !
দুপাশে ঠোঁটের জমি বিধ্বস্ত -
পরলের শুকনো ছিবড়ার মতো ।
দেখে মনে হয় - বহুদিন বৃষ্টি হয়নি এপাশে এখনো ।
বুকের সুউচ্চ পাহাড় দুটো মাঝের উপত্যকায় লীন ।
কিন্তু কীভাবে ঐ নীরস শরীর থেকে নিংড়াবো রস
এমন সুপারী ফল ... তাও পান নেই সাথে
একদিন, ঐ দুটি হাতে পানের হৃদয় দিয়ে ঢেকেছিল মুখ তার
পেকে ওঠা ধানের হলুদ আলোর মতো যুবতী রূপ;
মাথায় একটিপ কৃষ্ণচূড়ার সিঁদুর
কিছুটা ঝরেছে এসে কপালের মাঝে
সেদিনই আবহাওয়া দপ্তর ঘোষণা করলো বর্ষার তারিখ
বৃষ্টির পূর্বাভাসে সেও ছিল জেগে ...
তারপর একদিন -
এমনই বান এলো ভীষণ
নদী, নালা, প্রান্তর সব টলটল
সেখানেই তার সিঁদুরের ফুল গেল ঝরে
অশোক ফুলের মতো রঙের চিতায় ... পুড়ল হাজার শব
সেই সব শবের, একটির ... সেও দাবিদার
দাবি আজ চলে গেছে ... সেও আজ নয় কারো দার
আহা- অমন পানের মতো মুখ ... আজ ফেলা পিকের মতন !
রিক্ত, নগ্ন হাত !
ভেঙেছে নিজের হাতে লাল-সাদা শাঁখের চুড়ি
এই অবেলায় পেতেছে তার দুটি কালো হাত
আমার বুকের কাছে ... হৃদয়ের কাছে
আহা- অমন সোনার ধানক্ষেত
সবই নিয়ে গেল সর্বনাশী রাক্ষসী বান ।