সপ্তসিন্ধুপারের কোন এক অভিশপ্ত নারীর কাহিনী
আজ ইতিহাস হয়ে গেছে ।
জীর্ণ পুঁথির ছিন্নপাতায় বিদীর্ণ হয়ে আছে
তার দগ্ধকাম দীর্ঘশ্বাস –
বুকচাপা আর্তনাদের গুঞ্জরিত প্রতিধ্বনি
পাষাণ ইমারতের দেয়ালে দেয়ালে আছড়ে মরে ।
মোতি মহলের জলসাঘরে অস্থিরতায় বেজে চলে
অভাগিনীর পায়ের নূপুর –
পোড়ো মন্দিরের প্রাঙ্গণে অদৃশ্য হাতে
গেঁথে চলে সে কূল দেবতার মালা ।
চাঁদনী রাতের বাতাসে ভেসে বেড়ায়
ফুলের সুবাস আর চুড়ির রিণিরিণি শব্দ –
কালো দীঘির গভীর জলে সাঁতার কেটে চলে
সেই বরবর্ণিনীর জোনাকি শরীর ।
পরিত্যক্ত শূন্য ভিটেয় কাপড় টাঙানো দড়িতে
উড়তে থাকে তার লাল বেনারসী-
রুদ্ধশ্বাসের অলিতে গলিতে অতৃপ্ত সেই
কামিনী কায়ার গোপন আর্তি হাহাকারে ডুবে যায় -
‘আমি যে বাঁচতে চেয়েছিলাম’ !