জ্যোতিষ্ক দত্ত


লেখার ইচ্ছে কেন হয়, সে নিয়ে আর ভাবিনা আজকাল, ভয় করে ওরা জেনে যাবে, তাও লিখি – লেখা শুরু করার আগে, মাঝে মাঝে নিজেকে বড়ো নগ্ন মনে হয় আমার সমস্ত ভ্রূণ কবিতার কাছে, এক একদিন তাদের ভয়ে আমি আলোর বৃত্তের দিকে পালিয়ে যাই, আর এক একদিন আমাকে লাত্থি মেরে পাঠানো হয় আমার মৃতবৎসা শব্দের কাছে…

এক একদিন বাইরের আলোটা ওরা নেভায় না,
শব্দ গুলোও খুব আঠালো লাগে, জানলার কাঁচে কয়েকটা দাগের মতন
ক্লান্তি লেগে থাকে বিছানার ভাঁজে…
আমি উঠে বসি, নিজেকে কুড়িয়ে নিতে বেরিয়ে আসি
ডালপালা সামনে যা পাই জড়িয়ে,
আর আমার সাথে ঠিক তখনই দেখা হয়ে যায় একটা আশ্চর্য লাইনের
তাকে কুশল জিজ্ঞেস করি,
একটা চেয়ার টেনে দিই… এক গ্লাস জল, হাতপাখা,
আজকের পত্রিকাটা আড়চোখে খুঁজতে খুঁজতে বলি,
‘উনি তো বাড়ি নেই, এই এক্ষুনি বেরোলেন…
একটু বসুন’…
একটা খুব চেনা স্বর তখন আমায় খোঁজে ভেতর ঘর থেকে,
আমাকে বকে,
নাম ঠিকানা জানতে চায় ওদের,
আমি জিজ্ঞেস করবো ভাবি – সাহস করে একপা এগিয়ে দেখি,
সামনে সেই নরম বিছানা…
আর তার ভাঁজ ভাঁজ থেকে জোর করে মুছে দেওয়া আমার ক্লান্তি আর
কয়েকটা অন্ধকার…