দীপা পান

 

প্রস্তুতিঃ
আমি গর্ভিণী মেঘেদের দিকে চেয়ে চেয়ে
ক্লান্ত কামনায়।
বহু দূরের প্রিয় কোনো জায়গা থেকে ধীরপায়ে
ফিরে আসার পর ঘামের রেণুর মত ম্রিয়মাণ
গোপন গ্রন্থির দ্বারে…

আজকে আমার চোখ টেনেছে শুকনো একটা নদী
কার ক’ ছটাক রোদ পড়েছে ভাগে
কার ক’ মুঠো বালির মত শোক –
হিসেব কষে না-জন্মানো টান
আর আমি ওই নদীর সাথে মিশে
স্রোতের জন্য খুঁজতে থাকি আলো
বৃষ্টিভারে শরীর ভাঙার স্বপ্নে লিখতে থাকি
বিষাদমোচন সংলাপ…

এবং তারপরঃ
তারপর ডুব দিয়ে জেনেছি জল কতটা গভীর
কিংবা ঢেউয়ের বিস্তার কতদূর
আবার সাঁতরে ফিরে এসেছি ঘাটে
প্লবতা চর্চার উৎসাহে।
প্ল্যাঙ্কটনের উদ্দীপনার অবশেষরূপে
তুমি…
আসলে ফেরিঘাট;

জলের গভীরতা মেপে সংরক্ষণ করেছি তথ্য
অসংখ্য রাত ফুরিয়ে গিয়েছে শুধু,
অন্বেষণর উত্তাপ আল্পনা এঁকে দিচ্ছে
মাছের ঠোঁটের বুদ্‌বুদ্‌।

উৎসবঃ
আর যখন গিরিখাতের ঠিকানা পেলাম
জলের শব্দের উপমা মাখে নি
পোষাক খোলার গুঞ্জন,
ক্লান্ত রঙ্গন তখন বেশ চনমনে
একটু একটু মনে পড়ছে গতজন্মের রঙ,
ব্রাশ ও বালতির ঠিকানা

তারপর ক্লান্তিতে হাতপাখা—
খসে যায়
কোথায় তলিয়ে যায়
জানিনা!
সেখানে
জলের মধ্যে জলের সেতু সুঠাম – উচ্চকিত পেশী
সেখানে
আকাশের প্রতিবিম্ব উদ্‌যাপন করে ডুবসাঁতার…