নিয়ে বসে আছে একটা কালো বিড়াল
চারিদিকে গা ছমছমে নীরবতা
আর হাড় হিম করা অন্ধকার।
সেই কবে থেকে বসে আছে
বিড়ালটা, সমস্ত আলো নিভে
কেমন করে কালো কার্বনের
মতো অন্ধকার নামল
অফিস পাড়ায় – সব দেখছে সে।
বাতাসে ভারী পর্দা দুলে ওঠে
সিঁড়িতে কাদের আনাগোনা!
কাঁটা-চামচ আর কাপ-প্লেটের
ঝনঝন শব্দ,
করিডোরে পাতাবাহার গাছেরা
লজ্জায় শুকিয়ে কাঠ,
– কোনো উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের
পদস্খলন হল বুঝি।
দমকা হাওয়ায় ঘরের আলো
এক এক করে নিভছে,
খোলা ফাইলের পাতাগুলো
সামনে-পিছনে, ডাইনে-বাঁয়ে
উড়ছে, কে যেন
‘সৎভাবনা’ ‘স্বচ্ছতা’ ইত্যাদি শব্দ
লেখা কাগজগুলো বাস্কেটে
ছিঁড়ে ফেলে দিচ্ছে।
একেবারে কোণের ঘরের
দেওয়ালের ঈশাণ কোণে খালি গায়ে,
খালি পায়ে, হাতে লাঠি, গোল চশমা পরা
এক বৃদ্ধকে নড়েচড়ে
উঠতে দেখে বিড়ালটা
ভাবল এবার বোধহয়
তার চলে যাওয়ার
সময় এসেছে।