একদেশে ছিল এক রাজকন্যা। তার যেমন ছিল রুপ তেমন ছিল গুন। কিন্তু হঠাত রাজকন্যা এক কঠিন অসুখে পড়লো । সে যা কিছু হাত দিয়ে সর্প্শ করে সব গলে বাষ্প হয়ে যায়। রাজা পড়লেন মহা চিন্তায়, কারন রাজকন্যা, লোহা, স্বর্ন,কাঁচ,হিবক এমনকি ইস্পাত যা-ই ধরে সব বাষ্প হয়ে যায় । রাজা রাজ্যের সকল বড় বড় চিকিতসকদের ডাকলেন তারা নানা ধরনের চিকিতসা দিতে লাগলেন ।কিন্তু কোন কিছুতে কোন ফল হল না। সকল চিকিতসক মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন রাজকন্যাকে দিয়ে যদি বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন বস্তু সর্প্শ করানো যায় তাহলে তিনি স্বাভাবিকহয়ে যাবেন। এমন সময় একবৃদ্ধ ট্রেতে করে লাল একটা হৃতপিন্ড নিয়ে হাজির হলেন -এবং বললেন এটাই বিশ্বের কঠিনতম বস্তু। রাজকন্যা এই হৃতপিন্ডটা সর্ষ্শ করলেই ভালো হয়ে যাবেন। উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে উঠলো । রাজা বললেন তোমরা হাসছো কেন? দেখুক না একবার চেষ্টা করে। রাজকন্যাকে আনা হলো। রাজকন্যা হাতদিয়ে হৃতপিন্ডটা সর্স্শ করার সাথে সাথে হৃতপিন্ডতো গললোই না-বরং রাজকন্যা দুরে ছিটকে পড়লেন এবং সাথে সাথে রাজকন্যা স্বাভাবিক হয়ে গেলেন। এবার সবাই মিলে এই হৃতপিন্ডের রহস্য জানতে চাইলে বৃদ্ধ লোকটি বললেন:

এই হৃতপিন্ডটা একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় তেরী করা হয়েছে । এর ভিতরে যে বিশেষ উপাদান গুলো আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো - ঐসব মানুষের হৃতপিন্ডের টিস্যু যাদের হৃদয় সাধারন মানুষের দু:খ,দুর্দশা,কস্ট ও ভোগান্তিতে গলে না। আর ঐ সব মানুষগুলো হলো বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবসায়ী এবং সিএনজি অটো রিকসা চালক।