শম্ভুনাথ কর্মকার


একান্ত অলকানন্দা

চৈত্রের ক্ষেতে ফিরে আসে নরম নিঃশ্বাস
ছেঁড়াখোঁড়া শরীর আজ রাতের বিছানায় অলকানন্দা।

যা হবার দূরের অশ্বত্থ গাছের ছায়ায়,
অন্ধকার হয় কেঁপে কেঁপে ওঠে বাড়তি সংসার।

একটাই পৃথিবী হাত নেড়ে বলে
তোমার সংসারের ছিপ ফেলে একটি পুরুষ।

আগুন লেগেছে পাহাড়ের বাঁকে
পাথর ছড়িয়ে ভুলে যেও একলা ঘরে।

ভুলে যাই আমার আকাশ কেমন আছো
আগুনে পোড়ো নি তো আমার অলকানন্দা।

স্পর্শ নিও
কেউ কেউ ঘরকুনো, রাতের ছায়ায় সজাগ থাকে
ভীষণ ভাবে শুনতাম –
যেমন বলেছিল সবাই, স্মৃতি থেকে
হাতের মুঠোয় পুনঃসংযোগ, জলের প্রপাত
শুধু অরণ্যভূমির।
জীবনটা বিছিয়ে দেখেছো?
দুই হাতে চেয়েছো আগুনের সোহাগ।
জমা শ্যাওলায় বসেছে যে পাখি
দিনে দিনে বেড়ে ওঠে সে
তোমার নামের পাশে – নির্দেশ বসাতে বসাতে
পরশের সংকেত নিও।